ডায়াবেটিস কেন হয় এবং ডায়াবেটিস কমানোর উপায় কি?

ভূমিকা-

ডায়াবেটিস কেন হয় এবং ডায়াবেটিস কমানোর উপায় কি- ডায়াবেটিস আমাদের দেশে অতি পরিচিত এবং বহুল আলোচিত একটি রোগ। এই রোগ সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নেই। তবে এ রোগ সম্পর্কে আমাদের কিছু ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ, যা কখনোই একেবারে নির্মূল করা সম্ভব হয় না। তবে একটু সচেতন হলে এবং সুষম খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে খুব সহজেই এই রোগটিকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তবে এক্ষেত্রে ডায়াবেটিস কেন হয় এবং ডায়াবেটিস কমানোর উপায় সম্পর্কে ভালভাবে জানতে হবে।

বেশি দিন আগে নয়, এই তো অল্প কিছুদিন আগে যদি আমরা ফিরে যাই, তবে দেখা যেতো যে- ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা খুব বেশি ছিল না। হঠাৎ হঠাৎ শোনা যেত অমুকের ডায়াবেটিস হয়েছে, তমুকের ডায়াবেটিস হয়েছে। বর্তমান পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রায় সকল পরিবারেই দু’একজন করে ডায়াবেটিস রোগী রয়েছে। এর কারণ হিসেবে বলা যেতে পারে- ডায়াবেটিস কেন হয় এ সম্পর্কে আমরা অবগত হই না। আরও একটি বিষয় হলো- আগে বেশিরভাগই বয়স্ক রোগীদের ডায়াবেটিসের কথা শোনা যেতো। আর এখন সকল বয়সের মানুষেরই ডায়াবেটিস হতে দেখা যায়। এমনকি শিশুদেরও ডায়াবেটিস হচ্ছে। যাই হোক- আসুন জেনে নিই ডায়াবেটিস হলে আমাদের করণীয় কি বা কিভাবে এটিকে খুব সহজে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

ডায়াবেটিস কি?

আমরা প্রতিদিন যে খাদ্য গ্রহণ করে থাকি সেগুলোর বেশিরভাগই চিনিতে ভেঙে যায় (Glucose) এবং আমাদের রক্তের সাথে মিশে যায়। রক্তে শর্করার পরিমান যখন বেড়ে যায়, তখন এটি আমাদের অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন দূর করার আভাস দেয়। অগ্ন্যাশয় পর্যাপ্ত পরিমানে ইনসুলিন তৈরি করতে ব্যর্থ হওয়ায় বা উৎপন্নকৃত ইনসুলিন ব্যবহার করতে অক্ষমতার কারণে যে রোগ সৃষ্টি হয় সেটিকেই মূলত ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগ বলা হয়। এ রোগের প্রধান কারণই হলো ইনসুলিনের ঘাটতি।

ডায়াবেটিস এর লক্ষণসমূহ-

প্রতিটি রোগেরই কিছু আলাদা বৈশিষ্ট্য বা লক্ষণ থাকে। তেমনই ডায়াবেটিস রোগেরও কিছু আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এ সমস্ত লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই ডায়াবেটিস পরীক্ষা করানো উচিৎ। আর পরীক্ষা নিরীক্ষা করানোর পরে ডায়াবেটিস চিহ্নিত হলে খুব দ্রুততার সাথে নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। কারণ এটি খুবই মারাত্মক একটি রোগ। যা অন্যান্য রোগের সাথে যুক্ত হয়ে মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি করে। এ রোগের কিছু লক্ষণ সমূহ-

  • ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া
  • পিপাসা লাগা
  • ঘন ঘন ক্ষুধা লাগা
  • বেশী বেশী ক্লান্তি অনুভব করা
  • অল্প পরিশ্রমে হাফিয়ে উঠা
  • মাথা ঘুরানো
  • চোখে ঝাপসা দেখা
  • শরীরের কোথাও কেটে গেলে বা ক্ষত হলে সহজে শুকায় না
  • নিয়মিত খাবার খেয়েও ওজন কমে যাওয়া
  • হাত-পা অবশ হয়ে যাওয়া

ডায়াবেটিস কমানোর উপায়-

ডায়াবেটিস হওয়ার কারণ বা ডায়াবেটিস কেন হয় এ প্রশ্নের উত্তরে প্রথমেই বলব- শুধু ডায়াবেটিসই নয় বরং আমরা যে রোগেই আক্রান্ত হই না কেন, সকল রোগই মহান আল্লহ্ তা’আলার পক্ষ থেকে আসে। মহান আল্লহ্ তা’আলা যখন যাকে ইচ্ছা যে কোন রোগে আক্রান্ত করতে পারেন। আবার যখন যাকে ইচ্ছা সুস্থ্যতাও দান করেন। এক কথায়- রোগ দান করার মালিকও তিনি, আবার রোগ থেকে সুস্থ্য করার মালিকও তিনি। কোন ব্যক্তি বা বস্তু কাউকে রোগাক্রান্ত করার বা রোগ থেকে মুক্তি দানের ক্ষমতা রাখে না। এ ক্ষমতা একমাত্র মহান আল্লহ্ তা’আলার।

এ প্রসঙ্গে একটি হাদিস হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণনা করেন, তিনি বলেন- রাসুল (সঃ) ছোঁয়াচে রোগ বলতে কিছু নেই বলার পর, জনৈক বেদুইন জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রাসুল (সঃ)- যখন সুস্থ্য-সবল উটের পালে কোন রোগাক্রান্ত উট প্রবেশ করে এবং পালের সমস্ত উটকে রোগাক্রান্ত করে? উত্তরে রাসুল (সঃ) বলেন- প্রথম উটটিকে রোগে আক্রান্ত করেছিল কে? প্রথম উটটির মতো অন্যান্য উটগুলোকেও মহান আল্লহই রোগে আক্রান্ত করেছেন। (মুসলিম, হাদিস : ৫৭৪২)। তবে রাসুল (সঃ) সুস্থ্য উটের পালে অসুস্থ্য উটকে রাখতে নিষেধ করেছেন। (মুসলিম, হাদিস-২৮৭৩)।

মহান আল্লহ্ তা’আলা অনেক সময় আমাদেরকে বিভিন্ন রোগ, বালা-মসিবত দিয়ে পরীক্ষা করেন। আবার অনেক সময় অর্থ-সম্পদ, সুখ-শান্তি দিয়েও পরীক্ষা করেন। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লহ্ তা’আলা বলেন- প্রতিটি প্রাণ মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে; আর ভাল ও মন্দ দ্বারা তোমাদেরকে আমি পরীক্ষা করে থাকি এবং তোমাদেরকে আমারই নিকট ফিরে আসতে হবে। (সুরা-আম্বিয়া, আয়াত-৩৫)।

তাফসীর-

বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে অর্থাৎ দুঃখ-দুর্দশা, সুখ-শান্তি, সুস্থ্যতা ও প্রশস্ততা, অসুস্থতা ও সংকীর্ণতা, ধন-সম্পদ ও বিলাসিতা, দরিদ্রতা ও অভাব ইত্যাদি দ্বারা মহান আল্লাহ পরীক্ষা করে থাকেন। যাতে তিনি পরীক্ষা করে দেখতে পারেন- কে কৃতজ্ঞ বা কে অকৃতজ্ঞ এবং কে ধৈর্যশীল বা কে অধৈর্য। কৃতজ্ঞতা প্রকাশকারী ও ধৈর্য্যশীলদের মহান আল্লাহ তা’আলা অধিক পছন্দ করেন এবং বিপরীতমূখী কার্যকলাপ তিনি খুবই অপছন্দ করেন। মানুষ ও জ্বীন জাতীর সকলকেই তার মৃত্যুর পর কর্ম অনুযায়ী ভাল অথবা মন্দ প্রতিদান দেওয়া হবে। যারা সৎকর্মশীল তাদের জন্য রয়েছে উত্তম প্রতিদান এবং অসৎকর্মশীলদের জন্য রয়েছে মন্দ বিনিময়।

ডায়াবেটিস কেন হয়, এ প্রশ্নের উত্তর চিকিৎসা শাস্ত্রের ভাষায়- দৈনন্দিন আমরা যে খাবার খেয়ে থাকি, আমাদের শরীর সেই খাবারের শর্করাগুলোকে ভেঙ্গে চিনিতে (Glucose) রূপান্তরিত করে। তারপর অগ্ন্যাশয় গ্রন্থি থেকে এক প্রকারের হরমোন নিসৃত হয়। যেটাকে বলা হয় ইনসুলিন। ইনসুলিনের একমাত্র কাজ হলো আমাদের দেহের কোষগুলোতে প্রয়োজনীয় গ্লুকোজ সরবরাহ করা। ইনসুলিনের মাধ্যমে সরবরাহকৃত গ্লুকোজ আমাদের শরীরে জ্বালানী বা শক্তি হিসাবে কাজ করে থাকে। কিন্তু অগ্ন্যাশয় গ্রন্থি যখন প্রয়োজনীয় ইনসুলিন তৈরী করতে না পারে বা তৈরিকৃত ইনসুলিন ব্যবহৃত হওয়ার অক্ষমতার কারণে ডায়াবেটিস হয়। এর ফলে রক্তে শর্করার পরিমান বৃদ্ধি পায় বা রক্তে গ্লুকোজ জমা হতে শুরু করে।

ইসলাম এবং চিকিৎসা শাস্ত্র মতে ডায়াবেটিস হওয়ার কারণ তুলে ধরা হলো। তবে শুধু ডায়াবেটিসই নয় অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হওয়ার ক্ষেত্রে কোন না কোন ভাবে আমরাও অনেকাংশে দায়ী। আমাদের চলাফেরা, জীবন ব্যবস্থা, বদ অভ্যাসের কারণেও অনেক সময় আমরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে যাই। আমাদের জীবন পরিচালনার ক্ষেত্রে আমরা বিভিন্ন ধরণের অনিয়ম করে থাকি। শারিরীকভাবে সুস্থ্য থাকার জন্য সর্বদা মহান আল্লহ্ তা’আলার নিকট দু’আ করা এবং বিভিন্ন ধরণের অনিয়ম থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করা।

ডায়াবেটিস হওয়া বা অনিয়ন্ত্রিত থাকার ক্ষেত্রে আমাদের কিছু বদ অভ্যাস-

নিয়মিত ব্যায়াম বা শরীর চর্চা না করা-

টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ একটি কারণ হলো নিয়মিত শরীর চর্চা না করা। নিয়মিত শরীর চর্চার মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের সাথে সাথে শারীরিক ওজন কমায়, হৃদরোগ ও ব্রেইন স্ট্রোক এর ঝুঁকি কমায়। এছাড়া এটি রক্তে শর্করার পরিমান কমায়।

অতিরিক্ত মানসিক চাপ-

টাইপ-২ ডায়াবেটিসের অন্য একটি কারণ অতিরিক্ত মানসিক চাপ। আমরা অনেক সময় বিভিন্ন কারণে অত্যাধিক মানসিক চাপে থাকি। যেমন- অফিসে কাজের চাপ, পারিবারিক চাপ, আর্থিক চাপ ইত্যাদি কারণে আমাদের রক্তে শর্করার পরিমান বেড়ে যায়। এ সকল চাপ এড়াতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করুন। যেমন- একটানা অনেক্ষণ কাজ না করে মাঝে মাঝে হাটা-চলা করুন, পারিবারিক জটিলতা দূর করার চেষ্টা করুন, আর্থিক চাপ কমাতে অতিরিক্ত চাহিদা কমানোর অভ্যাস করুন।

পর্যাপ্ত পরিমানে না ঘুমানো-

শারিরীক সুস্থ্যতার জন্য ঘুমের বিকল্প কিছু নেই। আমরা প্রতিদিন আমাদের চাহিদা পূরণের জন্য বিভিন্ন ধরণের পরিশ্রম করে থাকি। সারাদিন পরিশ্রম করার পর সঠিকভাবে ঘুমের প্রয়োজন। একটি গবেষণার তথ্যমতে পর্যাপ্ত পরিমানে না ঘুমালে রক্তে শর্করার পরিমান বৃদ্ধি পায়। শুধু এটাই নয় পর্যাপ্ত পরিমানে না ঘুমালে বিভিন্ন ধরণের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশী। এজন্য শারীরিক সুস্থ্যতার জন্য পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুমানো উচিৎ। ঘুম ভালো হলে শরীর ও মন দু’টিই ভালো থাকে।

রাতে পেট ভরে খাওয়া-

একটি গবেষণা থেকে জানা যায়- রাতে পেট ভরে খাওয়া এবং খাওয়ার কিছুক্ষণ পরই ঘুমানোর কারণে রক্তে শর্করা বেড়ে যায়। রাতে আসলে পেট ভরে খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। পরিমিত খাবার গ্রহণ করা উচিত। আমাদের একটি বদ অভ্যাস আছে তা হলো- আমরা রাতের খাবার অনেক রাতে খাই এবং খাওয়ার পরপরই ঘুমিয়ে পড়ি। এটি আসলে অনেক ক্ষতিকর একটি দিক। নিয়ম হলো- রাতের খাবার রাত ৮-৯টার মধ্যে খাওয়া উচিত। খুব ভালো হয় যদি রাত ৮টার মধ্যে খাওয়া হয়। এছাড়া ঘুমানোর অন্তত এক/দেড় ঘন্টা পূর্বে রাতের খাবার খাওয়া এবং খাওয়ার কিছুক্ষণ পর একটু হাটাহাটি করে তারপর ঘুমানো উচিত। অথচ আমরা অনেকেই রাত ১২-১টার দিকে পেট ভরে খেয়েই ঘুমিয়ে পড়ি। এটি আমাদের শরীরে ডায়াবেটিস সহ অনেক রোগের সৃষ্টি করে। এই বদ অভ্যাস আমাদের সকলের ত্যাগ করা উচিত।

সকালে না খেয়ে থাকা-

সারাদিন আমরা যে খাবার গ্রহণ করে থাকি তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার হলো সকালের নাস্তা। যেহেতু রাতে অল্প পরিমানে খাওয়া উচিত এবং লম্বা সময় ঘুমিয়ে থাকার কারণে আমরা অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকি তাই সকালের নাস্তা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ডায়াবেটিসের যে সকল রোগী সকালের নাস্তা খান না তাদের রক্তে শর্করার পরিমান রেড়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন- ডায়াবেটিস রোগীরা সকালের নাস্তায় ডিম, মাশরুম ইত্যাদি কার্বোহাইড্রেড জাতীয় খাবার খেতে পারেন।

চিনির পরিবর্তে মিষ্টির বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ-

একটি গবেষণা থেকে জানা যায়- আমরা চিনির বিকল্প হিসাবে যে সকল জিরো ক্যালরি চিনি ব্যবহার করে থাকি, বেশিরভাগ চিনির মধ্যেই অতিরিক্ত সোডা ব্যবহার করা হয়। যার ফলে আমাদের রক্তে শর্করার পরিমাণ আরও বেড়ে যায়। চিনির বিকল্প হিসাবে ব্যবহৃত বাজারের এ সমস্ত জিরো ক্যালরি চিনি অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে।

মুখের দুর্গন্ধ দূর করার উপায়

চুল পড়ার কারণ ও প্রতিকার

দাঁতের যত্ন নিন সুস্থ্য থাকুন

শীতে ত্বকের যত্ন ও পরিচর্যা

কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা

ডায়াবেটিস নির্ণয়-

  • আমাদের রক্তে গ্লুকোজের পরিমান সাধারণত

ডায়াবেটিসের প্রকারভেদ-
ডায়াবেটিস রোগীদের কি কি সমস্যা হতে পারে-
ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা-

ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীরা যে খাবারগুলো খেতে পারেন-

  • রঙ্গিন ও টাটকা শাক সবজি এবং সেগুলো পরিস্কার হতে হবে।
  • পরিস্কার ফলমূল ও জুস খেতে পারেন। তবে জুস বেশী না খাওয়াই ভালো।
  • উপকারী চর্বি জাতীয় খাবার। যেমন- মাছের তেল, অলিভ ওয়েল, বাদাম, ইত্যাদি।
  • উপকারী প্রোটিনযুক্ত খাবার খেতে পারেন। যেমন- অল্প চর্বি ‍যুক্ত দুধ, ডিম, টক দই ইত্যাদি।
  • দেশী মাছ বেশী পরিমানে খেতে পারেন। এছাড়া দেশী মুরগিও খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন।

ডায়াবেটিস রোগীদের যে খাবারগুলো এড়িয়ে চলা বা কম খাওয়া উচিত-

  • মিষ্টি জাতীয় খাবার
  • চিনির পরিবর্তে মিষ্টির বিকল্প হিসাবে বাজারে যে সকল জিরো ক্যালরি চিনি পাওয়া যায়
  • শর্করা জাতীয় খাবার
  • অতিরিক্ত ফ্রাই করা খাবার 
  • অতিরিক্ত রান্না খাবার
  • বেশি ঝাল এবং মসলা জাতীয় খাবার
  • বাজারের বিভিন্ন ধরণের প্যাকেটজাত খাবার
  • ফাস্ট ফুড জাতীয় খাবার
  • প্রক্রিয়াজাতকরণ মাছ বা মাংস

ডায়াবেটিস কেন হয়-

উপসংহার-

ডায়াবেটিস খুবই মারাত্মক একটি রোগ। এটিকে নিয়ন্ত্রণ করা খুবই জরুরী। কারণ এ রোগ নিয়ন্ত্রণে না থাকলে অন্যান্য রোগের সাথে যুক্ত হয়ে খুবই মারাত্মক আকার ধারণ করে। এ রোগ সম্পূর্ণ নির্মূল করার কোন চিকিৎসা পদ্ধতি এখনও আবিস্কার হয়নি। তবে এটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে নিয়মিত ব্যায়াম, শরীর চর্চা, স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ ও প্রয়োজনে সঠিক নিয়মে ঔষধ খেতে হবে। এছাড়া মাঝে মাঝে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। একটি মজার বিষয় হলো- ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা যে পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করি, যেমন- নিয়মিত ব্যায়াম, শরীর চর্চা, খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন, নিয়ম মেনে চলা ইত্যাদির মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি আমাদের শরীরের অন্যান্য রোগও নিয়ন্ত্রণে থাকে বা শারীরিকভাবে অনেকটাই সুস্থ্য থাকা যায়।

ডায়াবেটিস সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

3 thoughts on “ডায়াবেটিস কেন হয় এবং ডায়াবেটিস কমানোর উপায় কি?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *