বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থান নিকলী হাওর

বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থান নিকলী হাওর

ভূমিকা-

বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থান- প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের নতুন দিগন্ত আর বর্ষার যৌবনে নৌকায় ভ্রমন করে কর্মব্যস্ত জীবনে আনন্দের ছোয়া পেতে ঘুরে আসুন কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলী উপজেলার নিকলী হাওরে।   বাংলাদেশের বড় হাওরের মধ্যে এটি একটি। এই হাওরের বিস্তৃতি নিকলী উপজেলাতেয় সীমাবদ্ধ নয়। এই হাওরের বপরিধি নিকলী উপজেলার পাশ্ববর্তী ইটনা, মিঠাইমন ও অষ্টগ্রাম পর্যন্ত । কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা থেকে নিকলীর দূরত্ব ২৫ কিলোমিটার। নিকলী উপজেলার বিছিন্ন গ্রামগুলো পানিতে বাসমান ছোট দ্বীপের মত মনে হয়। বিকালের হিমেন বাতাস, স্বচ্ছ জলের খেলা রাতারগুলের মত ছোট জলাবন ও হারের তরতাজা মাছ। এছাড়াও হাওরের মধ্যে বাসমান হিজল গাছগুলো হাওরের পাখিদের নিরাপত আস্রয়স্তল। হিজলগাছগুলো হাওরের সুন্দয্যে আরেটা অংশ। ঢাকা ও তার আসপাশ এলাকা থেকে মাত্র একদিনে কম খরচে ভ্রমন করার স্থান পর্যটকদের আকর্ষনের নিকলী হাওর। অধিক সময় ভ্রমন ও হাওরের তাজা মাছের স্বাদ গ্রহনের জন্য একদিনে বেশি সময় ব্যয় করতে চাইলে  নিকলীতে অবস্থিত আবাসিক হোটেনগুলোতে অবস্থান করতে পারবেন।

একদিনে সম্ভব?

কর্মরত জীবনে কান্তি দূর করতে শান্তির প্রয়াসের জন্য মানুষ দেশ-বিদেশ ভ্রমন করে। আর তারই জন্য ভ্রমনকারীদের কাছে টাকা বা সময় মূখ্য বিষয় নয়। তারপরে অনেকের হাতে সময় খুব কম। তাদের জন্যই বলছি যদি সময়ের প্রতি খেয়াল রেখে ঢাকা বা তার আশপাশ থেকে  নিকলী হাওর ভ্রমন করে ফিরতে পারবেন। সেই ক্ষেত্রে সকাল ৭ টার আগে রওনা দিতে হবে। বাস অথবা মাইক্রোবাসে ঢাকা থেকে সরাসরি নিকলী যেতে পারবেন। বাসে যেতে সময় লাগবে ৩:৩০ থেকে ৪ ঘন্টা (নির্ভর করে ট্রাপিক জ্যামের উপর)।   ঢাকা থেকে ট্রেনে কিশোরগঞ্জ, গচিহাটা বা মানিকখালী নেমে পরে ওইখান থেকে সিএনজি বা ইজিবাইকে নিকলী চলে যেতে পারবেন। ট্রেনে আসতে সময় লাগে ৩:১৫ থেকে ৩:৪৫ ঘন্টা। কিশোরগঞ্জ থেকে টাকাগামী সর্বশেষ ট্রেন বিকাল ৪টায় ছাড়ে তাই একই দিনে ট্রেনে ঢাকা ফিরা সম্ভব হবে না।

ঢাকা থেকে কিভাবে যাবেন?

কোথায়ও ভ্রমণ করার আগে এই স্থানের ভৈাগলিক অবস্থান, কিভাবে যাওয়া যায় এবং কত সময়ে যাওয়া যায় তা জানা থাকা দরকার। ঢাকা থেকে ট্রেনে এবং বাসে  গচিহাটা এ আসা যায়। পরে গচিহাটা হতে সিএনজি ও ইজিবাইকে নিকলীতে যাওয়া যায়। গচিহাটা থেকে ইজিবাইকে নিকলী যেতে সময় লাগে ৩০-৩৫ মিনিট।

ট্রেনে ঢাকা থেকে নিকলী

ঢাকা থেকে ট্রেনে নিকলী আসতে হলে, কিশোরগঞ্জগামী ট্রেনে আসতে হবে। সেই ক্ষেত্রে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন অথবা এয়ারপোর্ট  থেকে উঠতে হবে। সকাল ৭:১৫ মিনিটে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন হতে কিশোরগঞ্জগামী এগারোসিন্ধুর প্রভাতী ট্রেন ছাড়ে । ১২৫ থেকে ২০০ টাকা প্রতি জনের জন্য ট্রেনের ভাড়া (শ্রেনী অনুযায়ী)। এগারোসিন্ধুর প্রভাতী  গচিহাটা পৌছায় সকাল ১০:৪৫ মিনিটে বা তার একটু আগে পরে। এইখান থেকে সিএনজি বা ইজিবাইকে নিকলী চলেযেতে পারবেন।  

বাসে ঢাকা থেকে নিকলী

ঢাকা থেকে এক বাসে করে নিকলীতে যাওয়া যায়। ঢাকা থেকে নিকলী যেতে সময় লাগবে ৩ ঘন্টা থেকে ৩:৩০ ঘন্টা। ঢাকা থেকে নিকলী যাওয়ার বাস ছাড়ে সায়দাবাদ থেকে। নিকলী যাওয়ার সরাসরি বাস না পেলে সায়েদাবাদ এর গোলাপ থেকে কিশোরগঞ্জগামী বাসে উঠে পুলেরঘাট নেমে খুব সহজেই ইজিবাইকে নিকলী বেড়িবাধে ছলে যেতে পারবেন। নিকলীর বেড়িবাধও দেখার মত স্থান।

কখন ভ্রমণ করা উচিত?

জুলাই ও আগস্ট মাসে হাওরের বেশি পানি থাকে। তখন ভ্রমন করতে পারেন।

সতর্কতা

১। সাঁতার জানা না থাকলে লাইফ জ্যাকেট ছাড়া পানিতে নামবেন না।

২। সন্ধার আগে হাওর থেকে ফিরতে হবে।

৩। সাথে লাইফ জ্যাকেট নিলে ভাল হয়।

৪। সময়ের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *